সমরেশ মজুমদার ঔপন্যাসিক, গল্পকার। ১০ মার্চ, ১৯৪৪ সালে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-এ। প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। প্রথম উপনাস "দৌড়" দেশ পত্রিকায় ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি বেশ কিছু সফল টিভি সিরিয়ালের কাহিনিকার । তাঁর সৃষ্ট একটি গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুন। তাঁর ট্রিলজি 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ' বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছে। উত্তরবঙ্গের জল জঙ্গলের প্রতি মমত্ববোধ তাঁর রচনাকে স্বতন্ত্রভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। রাজনৈতিক চেতনা, প্রেম, অপ্রাপ্তি, হতাশা এবং আধুনিক নাগরিক জীবনের নানান ঘাত প্রতিঘাতের ছবি ফুটে উঠেছে তাঁর সৃষ্টিতে। সম্মাননাঃ আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮২, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, ১৯৮৪ ও অন্যান্য।
'মধুর তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হল শেষ'। প্রেম শব্দ উচ্চারণে মর্মে যে ভাব সঞ্চারিত হয় তা প্রাথমিকভাবে নরনারীর হৃদয়ানুরাগকেই দ্যোতিত করে। কিন্তু প্রেম তো আলোর মতো। তার বিচ্ছুরণ সব দিকে। তার আভা সব খানে। প্রেম সেই বৈদূর্যমণি যার দীপ্তিতে আঁধার দূর হয়। অথবা আঁধার পার হওয়া যায়। যার অনুপস্থিতিতে শূন্য মনে হয়। এই প্রেমবোধ এক স্তরিক নয়। এক মাত্রিক নয়। প্রানীতে-মানুষে, নিসর্গে-মানবে গড়ে ওঠে নিবিড় সখ্য। আবার সম-অসম বয়সী পুরুষে-নারীতে, নারীতে-মেয়েতে, বালকে-পুরুষে কত বিচিত্র পথ ধরে উদ্বেলিত হয় হৃদয়। 'বাসভূমি' উপন্যাসে চা বাগান কুলি, শ্রমিকদের কাছে মাতৃভূমির মতো। তাদের জীবন-যৌবন, বাসনা-নির্লিপ্তির সমস্ত অভিব্যক্তির আবর্ত এই বাসভূমিকে ঘিরে। 'তীর্থযাত্রী' উপন্যাস উদগ্র ভোগবাদ ও অন্তর্গত প্রবৃত্তির তাড়নার মাঝেও যে সুন্দর বেঁচে থাকে- সেই সুন্দরের কথা বলে। 'ফেরারী' উপন্যাস খানিক জাদু বাস্তবতার আশ্রয়ে অনুভূতিশূন্য কঙ্কাল থেকে রক্তমাংসের প্রাণ স্পন্দনে উত্তরণের কথা বলে। এরকমই সাতটি বিভিন্ন স্বাদের উপন্যাস নিয়ে এ গ্রন্থ যার ভরকেন্দ্রে অবস্থিত প্রেম। হৃদয়তন্ত্রীতে বেজে ওঠা সাত রং ও সপ্তসুর। উপন্যাসগুলি হলঃ মোহিনী, ফেরারী, নিকট কথা, স্বনামধন্য, তেরো পার্বণ, তীর্থযাত্রী ও বাসভূমি।
Weight:992 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
সমরেশ মজুমদার ঔপন্যাসিক, গল্পকার। ১০ মার্চ, ১৯৪৪ সালে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের চা-বাগানে। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের ছাত্র। কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-এ। প্রথমে গ্রুপ থিয়েটার করতেন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত হয়। প্রথম উপনাস "দৌড়" দেশ পত্রিকায় ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি বেশ কিছু সফল টিভি সিরিয়ালের কাহিনিকার । তাঁর সৃষ্ট একটি গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুন। তাঁর ট্রিলজি 'উত্তরাধিকার', 'কালবেলা', 'কালপুরুষ' বাংলা সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছে। উত্তরবঙ্গের জল জঙ্গলের প্রতি মমত্ববোধ তাঁর রচনাকে স্বতন্ত্রভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। রাজনৈতিক চেতনা, প্রেম, অপ্রাপ্তি, হতাশা এবং আধুনিক নাগরিক জীবনের নানান ঘাত প্রতিঘাতের ছবি ফুটে উঠেছে তাঁর সৃষ্টিতে। সম্মাননাঃ আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮২, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, ১৯৮৪ ও অন্যান্য।
'মধুর তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হল শেষ'। প্রেম শব্দ উচ্চারণে মর্মে যে ভাব সঞ্চারিত হয় তা প্রাথমিকভাবে নরনারীর হৃদয়ানুরাগকেই দ্যোতিত করে। কিন্তু প্রেম তো আলোর মতো। তার বিচ্ছুরণ সব দিকে। তার আভা সব খানে। প্রেম সেই বৈদূর্যমণি যার দীপ্তিতে আঁধার দূর হয়। অথবা আঁধার পার হওয়া যায়। যার অনুপস্থিতিতে শূন্য মনে হয়। এই প্রেমবোধ এক স্তরিক নয়। এক মাত্রিক নয়। প্রানীতে-মানুষে, নিসর্গে-মানবে গড়ে ওঠে নিবিড় সখ্য। আবার সম-অসম বয়সী পুরুষে-নারীতে, নারীতে-মেয়েতে, বালকে-পুরুষে কত বিচিত্র পথ ধরে উদ্বেলিত হয় হৃদয়। 'বাসভূমি' উপন্যাসে চা বাগান কুলি, শ্রমিকদের কাছে মাতৃভূমির মতো। তাদের জীবন-যৌবন, বাসনা-নির্লিপ্তির সমস্ত অভিব্যক্তির আবর্ত এই বাসভূমিকে ঘিরে। 'তীর্থযাত্রী' উপন্যাস উদগ্র ভোগবাদ ও অন্তর্গত প্রবৃত্তির তাড়নার মাঝেও যে সুন্দর বেঁচে থাকে- সেই সুন্দরের কথা বলে। 'ফেরারী' উপন্যাস খানিক জাদু বাস্তবতার আশ্রয়ে অনুভূতিশূন্য কঙ্কাল থেকে রক্তমাংসের প্রাণ স্পন্দনে উত্তরণের কথা বলে। এরকমই সাতটি বিভিন্ন স্বাদের উপন্যাস নিয়ে এ গ্রন্থ যার ভরকেন্দ্রে অবস্থিত প্রেম। হৃদয়তন্ত্রীতে বেজে ওঠা সাত রং ও সপ্তসুর। উপন্যাসগুলি হলঃ মোহিনী, ফেরারী, নিকট কথা, স্বনামধন্য, তেরো পার্বণ, তীর্থযাত্রী ও বাসভূমি।