লেখক পরিচিতিঃ স্বল্প পরিসর জীবনেও রবিশংকর বল (১৯৬২ - ২০১৭) একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। পেশায় তিনি ছিলেন সাংবাদিক। 'ওই মণিময় তার কাহিনী', 'দারুনিরঞ্জন' (গল্প); 'পাণ্ডলিপি করে আয়োজন', 'মধ্যরাত্রীর জীবনী' (উপন্যাস); 'ত্রস্ত নীলিমা', 'ঊনপঞ্চাশ বায়ু' (কবিতা); 'সংলাপের মধ্যবর্তী এই নীরবতা', 'জীবনানন্দ ও অন্যান্য' (প্রবন্ধ) প্রভৃতি তাঁর সাহিত্যের সাক্ষ্য বহন করে। সম্পাদনা করেছেন বিখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক সাদাত হাসান মান্টোর বাংলা অনুবাদ সংকলনের।
রবিশংকর বল প্রথিতযশা সাহিত্যিক। তাঁর কলমে এই উপন্যাস আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এক অসামান্য সংযোজন । ছোটগল্পের জগতের প্রবাদ পুরুষ মান্টো আর গজল-কবিতার জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী গালিবকে নিয়ে 'দোজখনামা' উপন্যাস। বঙ্কিম পুরস্কার প্রাপ্ত এই উপন্যাসের বুনন বেশ অদ্ভুত। কবরে শায়িত গালিব আর মান্টোর কথোপকথনে উপন্যাসের কায়া নির্মাণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর উৎসাহে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় ২০০৯ সালে এক বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল এই উপন্যাস । এ গ্রন্থ তারই পূর্ণাঙ্গ রূপ। । স্বগতোক্তির ঢঙে চরিত্র বাঙ্ময় হয়ে ওঠে এখানে। সংলাপ এখানে অন্তরঙ্গ আত্মীয়ের মতো। শিল্প ও শিল্পীর অনর্গল কথামুখ হয়ে ওঠে উপন্যাস। এ উপন্যাস দেশ কাল নিরপেক্ষ হয়ে 'মানুষ' এর কথা বলে। স্রষ্টার কথা বলে। "..ওপরে যতই কাঁটাতারের বেড়া থাকুক, মাটির গভীরে তো একটাই দেশ, একটাই পৃথিবী। মৃতের সঙ্গে মৃতের কথাবার্তা কেউ আটকাতে পেরেছে?" লক্ষ্ণৌ, মুম্বই এর ভিতর আবিষ্কৃত হতে থাকে অন্য এক ভারতভূমি। মান্টো আর গালিব উপমহাদেশের দুই নক্ষত্র, কিন্তু দুই ভিন্ন সময়ের। গালিবের সময় মুঘল শাসন অস্তাচলগামী, ব্রিটিশদের অধিকারে যাচ্ছে ভারতবর্ষ। আর মান্টোর জীবন কেটেছে যখন, দেশ স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের আভাস পেতে শুরু করেছে, দেশভাগের ক্ষত দীর্ণ দেশবাসীকে। এরই পটে উপন্যাসে ধ্বনিত হয়েছে দুই "একান্ত" মানুষের হর্ষ বিষাদময় আলাপচারিতা।
Weight:534 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ স্বল্প পরিসর জীবনেও রবিশংকর বল (১৯৬২ - ২০১৭) একজন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক। পেশায় তিনি ছিলেন সাংবাদিক। 'ওই মণিময় তার কাহিনী', 'দারুনিরঞ্জন' (গল্প); 'পাণ্ডলিপি করে আয়োজন', 'মধ্যরাত্রীর জীবনী' (উপন্যাস); 'ত্রস্ত নীলিমা', 'ঊনপঞ্চাশ বায়ু' (কবিতা); 'সংলাপের মধ্যবর্তী এই নীরবতা', 'জীবনানন্দ ও অন্যান্য' (প্রবন্ধ) প্রভৃতি তাঁর সাহিত্যের সাক্ষ্য বহন করে। সম্পাদনা করেছেন বিখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক সাদাত হাসান মান্টোর বাংলা অনুবাদ সংকলনের।
রবিশংকর বল প্রথিতযশা সাহিত্যিক। তাঁর কলমে এই উপন্যাস আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এক অসামান্য সংযোজন । ছোটগল্পের জগতের প্রবাদ পুরুষ মান্টো আর গজল-কবিতার জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী গালিবকে নিয়ে 'দোজখনামা' উপন্যাস। বঙ্কিম পুরস্কার প্রাপ্ত এই উপন্যাসের বুনন বেশ অদ্ভুত। কবরে শায়িত গালিব আর মান্টোর কথোপকথনে উপন্যাসের কায়া নির্মাণ। ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর উৎসাহে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ‘রোববার’ সাপ্তাহিক পত্রিকায় ২০০৯ সালে এক বছর ধরে প্রকাশিত হয়েছিল এই উপন্যাস । এ গ্রন্থ তারই পূর্ণাঙ্গ রূপ। । স্বগতোক্তির ঢঙে চরিত্র বাঙ্ময় হয়ে ওঠে এখানে। সংলাপ এখানে অন্তরঙ্গ আত্মীয়ের মতো। শিল্প ও শিল্পীর অনর্গল কথামুখ হয়ে ওঠে উপন্যাস। এ উপন্যাস দেশ কাল নিরপেক্ষ হয়ে 'মানুষ' এর কথা বলে। স্রষ্টার কথা বলে। "..ওপরে যতই কাঁটাতারের বেড়া থাকুক, মাটির গভীরে তো একটাই দেশ, একটাই পৃথিবী। মৃতের সঙ্গে মৃতের কথাবার্তা কেউ আটকাতে পেরেছে?" লক্ষ্ণৌ, মুম্বই এর ভিতর আবিষ্কৃত হতে থাকে অন্য এক ভারতভূমি। মান্টো আর গালিব উপমহাদেশের দুই নক্ষত্র, কিন্তু দুই ভিন্ন সময়ের। গালিবের সময় মুঘল শাসন অস্তাচলগামী, ব্রিটিশদের অধিকারে যাচ্ছে ভারতবর্ষ। আর মান্টোর জীবন কেটেছে যখন, দেশ স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের আভাস পেতে শুরু করেছে, দেশভাগের ক্ষত দীর্ণ দেশবাসীকে। এরই পটে উপন্যাসে ধ্বনিত হয়েছে দুই "একান্ত" মানুষের হর্ষ বিষাদময় আলাপচারিতা।