লেখক পরিচিতিঃ ১৯৩৯ সালে জন্ম হয় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার( এখন বাংলাদেশ) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামে। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দেশভাগের পর চলে আসেন কলকাতায়। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিমাইবাবু। দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতেও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় নিমাই ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্য়গ্রন্থ 'রাজধানীর নেপথ্যে'। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হল 'মেমসাহেব'। সাতের দশকে গোড়ার দিকে এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমাও সুপারহিট হয়। পরে লেখালেখিকে পুরোদস্তর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সাহিত্যের 'জনপ্রিয় লেখক'।
জীবিকার সন্ধানে লেখককে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ-আমেরিকা, গ্রাম-শহর-বন্দরে। সেই বিচিত্র যাপন-অভিজ্ঞতা ফসল ফলিয়েছে সাহিত্য-কর্মে। নিরবচ্ছিন্ন সাদাকালো নয়- মানব চরিত্র হয় ধূষর। কিংবা বহুবর্ণিল স্বভাব ধর্ম অন্তর্নিহিত থেকে ব্যক্তি-মানুষকে করে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এক মনে বসত করে অন্য মন। কখনো সচেতনভাবে কখনো অজ্ঞাতসারে। বৈপরীত্যের সন্নিবেশে গোটা এক একটা মানুষ ধরা দেয়। চরিত্রের আলো আঁধারি নিয়েই এগিয়ে চলে প্রত্যেক "আমি"। সতেরটি গল্পের সংকলনে এই সত্য সন্ধানে ব্রতী হয়েছে এই গ্রন্থ। ভাল-মন্দ, শুভাশুভ, আদর্শবান- আদর্শহীনতার আপাত বা আপেক্ষিক রূপ বিধৃত হয়েছে গল্পগুলির ঘটনা প্রবাহে। আবার, একই ব্যক্তি-মানুষের বহিরঙ্গে ও অন্তরঙ্গে যে চরিত্রগত গরমিল তা পরিস্ফুট হয়েছে বিভিন্ন সার্থক চরিত্র-চিত্রণে।
গ্রন্থটি তাই পাঠকের আত্মসমীক্ষা।
Weight:564 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ ১৯৩৯ সালে জন্ম হয় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার( এখন বাংলাদেশ) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামে। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দেশভাগের পর চলে আসেন কলকাতায়। সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিমাইবাবু। দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতেও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় নিমাই ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্য়গ্রন্থ 'রাজধানীর নেপথ্যে'। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হল 'মেমসাহেব'। সাতের দশকে গোড়ার দিকে এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমাও সুপারহিট হয়। পরে লেখালেখিকে পুরোদস্তর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সাহিত্যের 'জনপ্রিয় লেখক'।
জীবিকার সন্ধানে লেখককে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে এশিয়া-আফ্রিকা-ইউরোপ-আমেরিকা, গ্রাম-শহর-বন্দরে। সেই বিচিত্র যাপন-অভিজ্ঞতা ফসল ফলিয়েছে সাহিত্য-কর্মে। নিরবচ্ছিন্ন সাদাকালো নয়- মানব চরিত্র হয় ধূষর। কিংবা বহুবর্ণিল স্বভাব ধর্ম অন্তর্নিহিত থেকে ব্যক্তি-মানুষকে করে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এক মনে বসত করে অন্য মন। কখনো সচেতনভাবে কখনো অজ্ঞাতসারে। বৈপরীত্যের সন্নিবেশে গোটা এক একটা মানুষ ধরা দেয়। চরিত্রের আলো আঁধারি নিয়েই এগিয়ে চলে প্রত্যেক "আমি"। সতেরটি গল্পের সংকলনে এই সত্য সন্ধানে ব্রতী হয়েছে এই গ্রন্থ। ভাল-মন্দ, শুভাশুভ, আদর্শবান- আদর্শহীনতার আপাত বা আপেক্ষিক রূপ বিধৃত হয়েছে গল্পগুলির ঘটনা প্রবাহে। আবার, একই ব্যক্তি-মানুষের বহিরঙ্গে ও অন্তরঙ্গে যে চরিত্রগত গরমিল তা পরিস্ফুট হয়েছে বিভিন্ন সার্থক চরিত্র-চিত্রণে।
গ্রন্থটি তাই পাঠকের আত্মসমীক্ষা।