লেখক পরিচিতিঃ অমর মিত্রের জন্ম (৩০ শে অগাস্ট, ১৯৫১) খুলনা (বাংলাদেশ) জেলার ধূলিহর গ্রামে। স্বাধীনতা অ দেশভাগের পর স্বপরিবারে চলে আসেন বসিরহাটে। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। রুশ সাহিত্য পড়েই উপন্যাস লেখা শেখা।
২০১৭ সালে সমস্ত জীবনের সাহিত্য রচনার জন্য পান যুগশঙ্খ পুরস্কার। ২০১৯ সালের ৪-ই সেপ্টেম্বর থেকে ৬-ই সেপ্টেম্বরে কাজাখস্তানের রাজধানী নূর-সুলতান শহরে প্রথম এশিয়ান লেখক সম্মেলনে (The First Forum Of Asian Countries' Writers) একমাত্র ভারতীয় লেখক হিশেবে আমন্ত্রিত হন। খ্যাতনামা অভিনেতা ও নাট্যকার মনোজ মিত্র তাঁর অগ্রজ।
"বাংলাদেশ ঢুকে আছে এপারে। ইন্ডিয়া ঢুকে আছে ওপারে। বাংলাদেশের ভিতরের ইন্ডিয়া বা ইন্ডিয়ার ভিতরের বাংলাদেশ নিয়ে এই বৃত্তান্ত। জমি বৃত্তান্ত। মাটি বৃত্তান্ত। মানুষের বৃত্তান্ত। মশালডাঙার বৃত্তান্ত, তার ভিতরে এক বৃহৎ বৃত্তান্ত। সেই বৃত্তান্ত নিয়েই বসেছি।" ঔপন্যাসিকের মুখে এ-ই উপন্যাসের পরিচয়। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত হয় বঙ্গভূমি। বহু একর আয়তনের ছিটমহলগুলি ছড়িয়ে থাকে দুই দেশে যাদের মধ্যে একের মালিকানা অপর দেশের। অর্থাৎ এক দেশ আর এক দেশে, এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রে। এ যেন 'no man's land'। অস্তিত্ব থেকেও অনস্তিত্ব। কিন্তু দেশ তো মানুষ-নিরপেক্ষ নয়। শুরু হয় ছিন্নমূল মানুষের টানাপড়েন। ক্ষুন্নিবৃত্তি আর রাষ্ট্রীয় সংশয়ের দুরপনেয় দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্রহীন জীবনে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা প্রভৃতি মৌল চাহিদাগুলোই থেকে যায় উপেক্ষিত। নাগরিক পরিচয়টুকুই যেখানে দুরাশা। সেই বৃত্তান্তের উপাখ্যান বর্তমান উপন্যাস। লেখকের কথায় এ রচনার অবস্থান দিনপঞ্জি আর উপন্যাসের মধ্যবর্তী।
Weight:556 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ অমর মিত্রের জন্ম (৩০ শে অগাস্ট, ১৯৫১) খুলনা (বাংলাদেশ) জেলার ধূলিহর গ্রামে। স্বাধীনতা অ দেশভাগের পর স্বপরিবারে চলে আসেন বসিরহাটে। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। রুশ সাহিত্য পড়েই উপন্যাস লেখা শেখা।
২০১৭ সালে সমস্ত জীবনের সাহিত্য রচনার জন্য পান যুগশঙ্খ পুরস্কার। ২০১৯ সালের ৪-ই সেপ্টেম্বর থেকে ৬-ই সেপ্টেম্বরে কাজাখস্তানের রাজধানী নূর-সুলতান শহরে প্রথম এশিয়ান লেখক সম্মেলনে (The First Forum Of Asian Countries' Writers) একমাত্র ভারতীয় লেখক হিশেবে আমন্ত্রিত হন। খ্যাতনামা অভিনেতা ও নাট্যকার মনোজ মিত্র তাঁর অগ্রজ।
"বাংলাদেশ ঢুকে আছে এপারে। ইন্ডিয়া ঢুকে আছে ওপারে। বাংলাদেশের ভিতরের ইন্ডিয়া বা ইন্ডিয়ার ভিতরের বাংলাদেশ নিয়ে এই বৃত্তান্ত। জমি বৃত্তান্ত। মাটি বৃত্তান্ত। মানুষের বৃত্তান্ত। মশালডাঙার বৃত্তান্ত, তার ভিতরে এক বৃহৎ বৃত্তান্ত। সেই বৃত্তান্ত নিয়েই বসেছি।" ঔপন্যাসিকের মুখে এ-ই উপন্যাসের পরিচয়। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত হয় বঙ্গভূমি। বহু একর আয়তনের ছিটমহলগুলি ছড়িয়ে থাকে দুই দেশে যাদের মধ্যে একের মালিকানা অপর দেশের। অর্থাৎ এক দেশ আর এক দেশে, এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রে। এ যেন 'no man's land'। অস্তিত্ব থেকেও অনস্তিত্ব। কিন্তু দেশ তো মানুষ-নিরপেক্ষ নয়। শুরু হয় ছিন্নমূল মানুষের টানাপড়েন। ক্ষুন্নিবৃত্তি আর রাষ্ট্রীয় সংশয়ের দুরপনেয় দ্বন্দ্ব। রাষ্ট্রহীন জীবনে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা প্রভৃতি মৌল চাহিদাগুলোই থেকে যায় উপেক্ষিত। নাগরিক পরিচয়টুকুই যেখানে দুরাশা। সেই বৃত্তান্তের উপাখ্যান বর্তমান উপন্যাস। লেখকের কথায় এ রচনার অবস্থান দিনপঞ্জি আর উপন্যাসের মধ্যবর্তী।