নবনীতা দেবসেন (১৩ জানুয়ারি ১৯৩৮ – ৭ নভেম্বর ২০১৯) কবি, লেখক এবং শিক্ষাবিদ। দক্ষিণ কলকাতায় হিন্দুস্থান পার্কে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা নরেন্দ্র দেব ও মাতা রাধারানী দেবী সে-যুগের বিশিষ্ট কবি-দম্পতি। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া, ফরাসি, জার্মান, সংস্কৃত, হিব্রু ভাষা জানতেন। ১৯৭৫-২০০২ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ও বেশ কিছুকাল বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক ছিলেন।
বাংলার রক্ষণশীল সমাজে নবনীতা আজীবন ডানপিটে পরিচয়ে সমুজ্জ্বল ছিলেন। কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, ভ্রমণবৃত্তান্তে, গবেষণায়। তাঁর সৃষ্টিক্ষেত্র বহুমুখী। ভ্রমণপিয়াসী ও তার রচনায় বিশিষ্ট। রসবোধে অনন্য। তাঁর লেখার বড় অংশ জুড়ে আছে নারী ব্যক্তিত্বের বহুধা বিস্তার। তাঁর যাপনে ও বিশ্বাসে নারীর স্থান স্বতন্ত্র। নারী লেখক-প্রকাশকদের নিয়ে ‘সইমেলা’ নামে নারী বইমেলা নবনীতা দেবসেনেরই সৃষ্টি। তৈরি করেছেন ওয়েবসাইট আর নারী লেখকদের জন্য ব্লগ। তাঁর নারী ভাবনার স্বরটি ছিলঃ
বিদ্রোহহীন বিপ্লব। ১৯৯৯ সালে আত্মজীবনীমূলক রম্যরচনা নটী নবনীতার জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। ২০০০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন।
"এই লেখাগুলো যে কোনোদিন বই হয়ে বেরুবে, ভাবিনি। টুকরো লেখা, কিছু হাতে লিখেছি, কিছু এই যন্ত্রে, কিছু ঐ যন্ত্রে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, কে জানে কোনটা কোথায়।" গ্রন্থ সম্পর্কে গ্রন্থকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমই। তাঁর আশঙ্কা মিশ্রিত প্রত্যাশা, "৮৬টা টুকরো ম্যাজিক করে পরপর সাজিয়ে দিয়েছেন অমিতাভ রায় মশাই। মানছি, অনেক কপাল করলে এমন সব দূরদেশী পাঠক মেলে। এখন ভাবনা, শেষ অবধি তাদের মুখ রক্ষে হবে তো! প্রকৃতই এই গ্রন্থ পাঠক প্রতিক্রিয়ার ফল। "বাংলা লাইভ" ই-পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত একগুচ্ছ লেখার বিশেষ অনুরাগী আন্তর্জালিক পাঠকের নিরন্তর অনুরোধে এই গ্রন্থরূপ। বিষয়বৈচিত্র্যে এই নোটবই অনন্য। একবিংশ শতকের প্রথম দশকের মধ্য পর্যায়ের
নানান ঘটনা কিংবা 'অ-ঘটনা', নানান ভাবনা দিয়ে সাজানো। আসলে এ-ও এক গল্প বলা। অন্যভাবে। নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর তাদের নামকরণ। যেমন প্রথম লেখাঃ 'পকেটমানি'। কিন্তু এই আপাত তুচ্ছতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রয়েছে মেধা ও মানবিক সংবেদন। দৈনন্দিন অতিসাধারণ অভিজ্ঞতাকে দেখা হয়েছে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। ফলে পাওয়া গেছে মণিমুক্তো। তা পাঠকের কাছেও পেয়েছে সমান আদর।
SKU-1QFQMESFTQ61
Weight:560 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
নবনীতা দেবসেন (১৩ জানুয়ারি ১৯৩৮ – ৭ নভেম্বর ২০১৯) কবি, লেখক এবং শিক্ষাবিদ। দক্ষিণ কলকাতায় হিন্দুস্থান পার্কে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা নরেন্দ্র দেব ও মাতা রাধারানী দেবী সে-যুগের বিশিষ্ট কবি-দম্পতি। বাংলা, ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া, ফরাসি, জার্মান, সংস্কৃত, হিব্রু ভাষা জানতেন। ১৯৭৫-২০০২ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের অধ্যাপক ও বেশ কিছুকাল বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেরও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক ছিলেন।
বাংলার রক্ষণশীল সমাজে নবনীতা আজীবন ডানপিটে পরিচয়ে সমুজ্জ্বল ছিলেন। কবিতায়, গল্পে, উপন্যাসে, ভ্রমণবৃত্তান্তে, গবেষণায়। তাঁর সৃষ্টিক্ষেত্র বহুমুখী। ভ্রমণপিয়াসী ও তার রচনায় বিশিষ্ট। রসবোধে অনন্য। তাঁর লেখার বড় অংশ জুড়ে আছে নারী ব্যক্তিত্বের বহুধা বিস্তার। তাঁর যাপনে ও বিশ্বাসে নারীর স্থান স্বতন্ত্র। নারী লেখক-প্রকাশকদের নিয়ে ‘সইমেলা’ নামে নারী বইমেলা নবনীতা দেবসেনেরই সৃষ্টি। তৈরি করেছেন ওয়েবসাইট আর নারী লেখকদের জন্য ব্লগ। তাঁর নারী ভাবনার স্বরটি ছিলঃ
বিদ্রোহহীন বিপ্লব। ১৯৯৯ সালে আত্মজীবনীমূলক রম্যরচনা নটী নবনীতার জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান। ২০০০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন।
"এই লেখাগুলো যে কোনোদিন বই হয়ে বেরুবে, ভাবিনি। টুকরো লেখা, কিছু হাতে লিখেছি, কিছু এই যন্ত্রে, কিছু ঐ যন্ত্রে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, কে জানে কোনটা কোথায়।" গ্রন্থ সম্পর্কে গ্রন্থকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল এরকমই। তাঁর আশঙ্কা মিশ্রিত প্রত্যাশা, "৮৬টা টুকরো ম্যাজিক করে পরপর সাজিয়ে দিয়েছেন অমিতাভ রায় মশাই। মানছি, অনেক কপাল করলে এমন সব দূরদেশী পাঠক মেলে। এখন ভাবনা, শেষ অবধি তাদের মুখ রক্ষে হবে তো! প্রকৃতই এই গ্রন্থ পাঠক প্রতিক্রিয়ার ফল। "বাংলা লাইভ" ই-পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত একগুচ্ছ লেখার বিশেষ অনুরাগী আন্তর্জালিক পাঠকের নিরন্তর অনুরোধে এই গ্রন্থরূপ। বিষয়বৈচিত্র্যে এই নোটবই অনন্য। একবিংশ শতকের প্রথম দশকের মধ্য পর্যায়ের
নানান ঘটনা কিংবা 'অ-ঘটনা', নানান ভাবনা দিয়ে সাজানো। আসলে এ-ও এক গল্প বলা। অন্যভাবে। নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর তাদের নামকরণ। যেমন প্রথম লেখাঃ 'পকেটমানি'। কিন্তু এই আপাত তুচ্ছতার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রয়েছে মেধা ও মানবিক সংবেদন। দৈনন্দিন অতিসাধারণ অভিজ্ঞতাকে দেখা হয়েছে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। ফলে পাওয়া গেছে মণিমুক্তো। তা পাঠকের কাছেও পেয়েছে সমান আদর।