লেখক পরিচিতিঃ বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সাহিত্যিক হিসাবে অবনীন্দ্রনাথ পরিচিত । জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীতে তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮৭১ খ্রীস্টাব্দের ৭ ই আগষ্ট । দ্বারকানাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠপুত্র গিরীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র গুণেন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ । আর্ট স্কুলের শিক্ষক গিলার্ড ছিলেন তাঁর প্রথম শিক্ষক । প্যাসটেল , ড্রয়িং , জলরঙ প্রভৃতি প্রশিক্ষণও তিনি নিয়েছিলেন তাঁর কাছে । দ্বিতীয় শিক্ষক পার্মারের কাছে শিখেছিলেন তৈলচিত্র এবং লাইফ স্টাডি সম্পর্কে শিক্ষা। দেশীয় আদর্শে তাঁর প্রথম কাজ হল, কৃষ্ণলীলার চিত্রাবলী। 'নির্বাসিত যক্ষ' , 'বুদ্ধ ও সুজাতা ' , ' কচ ও দেবযানী ' , 'শাজাহানের মৃত্যু' প্রভৃতি অবনীন্দ্রনাথের আঁকা বিখ্যাত চিত্র। সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথের কলম থেকে সৃষ্টি হয় একে একে 'শকুন্তলা' , 'ক্ষীরের পুতুল' , 'নালক' , 'রাজকাহিনী' , 'ভূত পত্রীর দেশ', 'বুড়ো আংলা' প্রভৃতি । এগুলি বাংলা সাহিত্যের চিরকালীন সম্পদ। চিত্র শিল্পের উপরেও অবনীন্দ্রনাথ বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ভারত শিল্প' এবং ‘বাগীশ্বরী শিল্প প্রবন্ধমালা ’। ১৯৫১ সালের ৫ ই ডিসেম্বর ৮০ বছর বয়সে আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা শিল্পীর মৃত্যু ঘটে।
'এক যে ছিল রাজার' সময় এখন ইতিহাসের গর্ভে। তবু সে সব দিনের আখ্যানের সঙ্গে কল্পনার আশ্চর্যসুন্দর মিশ্রণে তৈরী হতো অপরূপ সব গল্প। রূপকথা। ঠাকুরদা-ঠাকুমা-দিদিমার অদৃশ্যমান ঝুলিতে ভরা থাকতো অফুরন্ত গুল্প। সে গল্পে শিশু মন উধাও
হতো সোনার কাঠি রূপোর কাঠির মায়ালোকে। শিশুমনে সেই যে পরশ লাগতো এক অন্য ভুবনের তা তাদের নিয়ে যেত দিকশুন্যপুরে, নাম না জানা কত দেশ গ্রাম শহরে, গিরিপথে, সমুদ্রতটে গহন অরণ্যে। বাইরের পৃথিবীতে, বড়দের জগতে তা
অকিঞ্চিৎকর; কিশলয়দের বিকাশে, কচিকাঁচাদের স্ফটিকস্বচ্ছ মনে তার মূল্য অপরিসীম, অমোঘ। ঠাম্মি, দিদুন, দাদাইরাও যেন খানিক ফিরে পেতেন তাঁদের হারানো শৈশব। আসলের চেয়ে সূদ হয়ে উঠত অনেকখানি বড়ো। কিন্তু সে দিনও অন্তর্হিত হল
একদিন। দাদু আর দাদুভাই সবারই মেজাজ গেলো বদলে। সময়ের হাত ধরে একালের virtual world ও যেন বাস্তবের কাছাকাছি নেমে এলো। এরকম এক সময় এমন এক গ্রন্থের আয়োজন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পৃথক
গ্রন্থ, আখ্যান, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা যা কিছু একরত্তি চোখগুলোয় পরিয়ে দিতো মায়া কাজল, সে সব নিয়েই দুই খন্ডে এই বই। মনের মণিকোঠায় ভুত পেত্নি রাক্ষস খোক্কস, পাল্কি, ময়ূরপঙ্খী, ডাকাত, লেঠেল, পক্ষীরাজ, রাজকন্যাদের আরও একবার
ছবি আঁকার সুযোগ করে দিয়েছে এই বই। শকুন্তলার কাহিনী, কৃষ্ণকথা কৈশোরের কৌতূহলোদ্দীপক মনগুলিকে পরিচয় করিয়ে দেয় মহাকাব্যের সঙ্গে, তাদের মতো করে। এইখানেই লেখকের মুন্সিয়ানা। তাঁর কথায়, শিশু যা চায় মুখ ফুটে চায়; বুড়ো মরে গুমরে, সেই অনায়াস
ভঙ্গিটি আর থাকে না। এই দুইয়ের তফাৎ করাই হল আর্ট। আর তার সার্থক আর্টিস্ট অবনীন্দ্রনাথ। গ্রন্থের ভূমিকায় অবনীন্দ্র-পৌত্র অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব স্মৃতিচারণ একটি অনবদ্য সংযোজন।
Weight:674 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ বিখ্যাত চিত্রশিল্পী এবং সাহিত্যিক হিসাবে অবনীন্দ্রনাথ পরিচিত । জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ীতে তাঁর জন্ম হয়েছিল ১৮৭১ খ্রীস্টাব্দের ৭ ই আগষ্ট । দ্বারকানাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠপুত্র গিরীন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র গুণেন্দ্রনাথের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ । আর্ট স্কুলের শিক্ষক গিলার্ড ছিলেন তাঁর প্রথম শিক্ষক । প্যাসটেল , ড্রয়িং , জলরঙ প্রভৃতি প্রশিক্ষণও তিনি নিয়েছিলেন তাঁর কাছে । দ্বিতীয় শিক্ষক পার্মারের কাছে শিখেছিলেন তৈলচিত্র এবং লাইফ স্টাডি সম্পর্কে শিক্ষা। দেশীয় আদর্শে তাঁর প্রথম কাজ হল, কৃষ্ণলীলার চিত্রাবলী। 'নির্বাসিত যক্ষ' , 'বুদ্ধ ও সুজাতা ' , ' কচ ও দেবযানী ' , 'শাজাহানের মৃত্যু' প্রভৃতি অবনীন্দ্রনাথের আঁকা বিখ্যাত চিত্র। সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথের কলম থেকে সৃষ্টি হয় একে একে 'শকুন্তলা' , 'ক্ষীরের পুতুল' , 'নালক' , 'রাজকাহিনী' , 'ভূত পত্রীর দেশ', 'বুড়ো আংলা' প্রভৃতি । এগুলি বাংলা সাহিত্যের চিরকালীন সম্পদ। চিত্র শিল্পের উপরেও অবনীন্দ্রনাথ বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ভারত শিল্প' এবং ‘বাগীশ্বরী শিল্প প্রবন্ধমালা ’। ১৯৫১ সালের ৫ ই ডিসেম্বর ৮০ বছর বয়সে আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা শিল্পীর মৃত্যু ঘটে।
'এক যে ছিল রাজার' সময় এখন ইতিহাসের গর্ভে। তবু সে সব দিনের আখ্যানের সঙ্গে কল্পনার আশ্চর্যসুন্দর মিশ্রণে তৈরী হতো অপরূপ সব গল্প। রূপকথা। ঠাকুরদা-ঠাকুমা-দিদিমার অদৃশ্যমান ঝুলিতে ভরা থাকতো অফুরন্ত গুল্প। সে গল্পে শিশু মন উধাও
হতো সোনার কাঠি রূপোর কাঠির মায়ালোকে। শিশুমনে সেই যে পরশ লাগতো এক অন্য ভুবনের তা তাদের নিয়ে যেত দিকশুন্যপুরে, নাম না জানা কত দেশ গ্রাম শহরে, গিরিপথে, সমুদ্রতটে গহন অরণ্যে। বাইরের পৃথিবীতে, বড়দের জগতে তা
অকিঞ্চিৎকর; কিশলয়দের বিকাশে, কচিকাঁচাদের স্ফটিকস্বচ্ছ মনে তার মূল্য অপরিসীম, অমোঘ। ঠাম্মি, দিদুন, দাদাইরাও যেন খানিক ফিরে পেতেন তাঁদের হারানো শৈশব। আসলের চেয়ে সূদ হয়ে উঠত অনেকখানি বড়ো। কিন্তু সে দিনও অন্তর্হিত হল
একদিন। দাদু আর দাদুভাই সবারই মেজাজ গেলো বদলে। সময়ের হাত ধরে একালের virtual world ও যেন বাস্তবের কাছাকাছি নেমে এলো। এরকম এক সময় এমন এক গ্রন্থের আয়োজন নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পৃথক
গ্রন্থ, আখ্যান, উপন্যাস, ছড়া, কবিতা যা কিছু একরত্তি চোখগুলোয় পরিয়ে দিতো মায়া কাজল, সে সব নিয়েই দুই খন্ডে এই বই। মনের মণিকোঠায় ভুত পেত্নি রাক্ষস খোক্কস, পাল্কি, ময়ূরপঙ্খী, ডাকাত, লেঠেল, পক্ষীরাজ, রাজকন্যাদের আরও একবার
ছবি আঁকার সুযোগ করে দিয়েছে এই বই। শকুন্তলার কাহিনী, কৃষ্ণকথা কৈশোরের কৌতূহলোদ্দীপক মনগুলিকে পরিচয় করিয়ে দেয় মহাকাব্যের সঙ্গে, তাদের মতো করে। এইখানেই লেখকের মুন্সিয়ানা। তাঁর কথায়, শিশু যা চায় মুখ ফুটে চায়; বুড়ো মরে গুমরে, সেই অনায়াস
ভঙ্গিটি আর থাকে না। এই দুইয়ের তফাৎ করাই হল আর্ট। আর তার সার্থক আর্টিস্ট অবনীন্দ্রনাথ। গ্রন্থের ভূমিকায় অবনীন্দ্র-পৌত্র অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজস্ব স্মৃতিচারণ একটি অনবদ্য সংযোজন।