লেখক পরিচিতিঃ ১৯৩৯ সালে জন্ম হয় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার( এখন বাংলাদেশ) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামে। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দেশভাগের পর চলে আসেন কলকাতায়।
সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিমাইবাবু। দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতেও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় নিমাই ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্য়গ্রন্থ 'রাজধানীর নেপথ্যে'। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হল 'মেমসাহেব'।
সাতের দশকে গোড়ার দিকে এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমাও সুপারহিট হয়। পরে লেখালেখিকে পুরোদস্তুর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সাহিত্যের 'জনপ্রিয় লেখক'।
জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা। খড়কুটোর জীবনে, শুধু কেরানির যাপনে, এমনকি ফুটপাথবাসীর সংসারে, অপাঙতেওজনের পৃথিবীতেও থাকতে পারে ঘটনার ঘনঘটা। কিংবা নিস্তরঙ্গ জীবনে সহসা উপস্থিত হয় কোনো তরঙ্গ অভিঘাত। প্লাবিত হয়
জীবনের দুকুল। সাধারণ দিনলিপিতে চকিতে একদিন যুক্ত হয় অসামান্য তাৎপর্য। অথবা নিশ্চল জীবনপ্রবাহের মধ্যেই কোথাও প্রচ্ছন্ন থাকে অতিসক্রিয় কোনো ভাবনা। 'সাব-ইন্সপেক্টর' উপন্যাসে শ্রীকৃষ্ণকুমার ঘোষ সমস্ত জীবন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েও
জীবনের প্রান্তবেলায় মনুষ্যত্বের যে পরিচয় দেন তা তাঁকে ভাস্বর করে। কোথাও বা কর্মজীবনের শেষে ফেলে আসা দিনের স্মৃতিরোমন্থনে জেগে ওঠে জীবনের নতুন চর। নতুনভাবে তা অর্থবহ হয়ে উঠে নতুন অধ্যায় সূচনার প্রয়াস পায়। আপাত অসম্ভব অথচ বহুসম্ভাবনাময় এমন জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থের উপন্যাসগুলিতে। নানা রঙের, নানান স্বাদের। চরিত্রের বিচিত্রতায় আখ্যানের প্রকাশও হয়েছে বিভিন্ন।
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ ১৯৩৯ সালে জন্ম হয় তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার( এখন বাংলাদেশ) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সরশুনা গ্রামে। তবে পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। দেশভাগের পর চলে আসেন কলকাতায়।
সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন নিমাইবাবু। দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতেও সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় নিমাই ভট্টাচার্যের প্রথম কাব্য়গ্রন্থ 'রাজধানীর নেপথ্যে'। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস হল 'মেমসাহেব'।
সাতের দশকে গোড়ার দিকে এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি সিনেমাও সুপারহিট হয়। পরে লেখালেখিকে পুরোদস্তুর পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি। কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সাহিত্যের 'জনপ্রিয় লেখক'।
জীবনের ধন কিছুই যায় না ফেলা। খড়কুটোর জীবনে, শুধু কেরানির যাপনে, এমনকি ফুটপাথবাসীর সংসারে, অপাঙতেওজনের পৃথিবীতেও থাকতে পারে ঘটনার ঘনঘটা। কিংবা নিস্তরঙ্গ জীবনে সহসা উপস্থিত হয় কোনো তরঙ্গ অভিঘাত। প্লাবিত হয়
জীবনের দুকুল। সাধারণ দিনলিপিতে চকিতে একদিন যুক্ত হয় অসামান্য তাৎপর্য। অথবা নিশ্চল জীবনপ্রবাহের মধ্যেই কোথাও প্রচ্ছন্ন থাকে অতিসক্রিয় কোনো ভাবনা। 'সাব-ইন্সপেক্টর' উপন্যাসে শ্রীকৃষ্ণকুমার ঘোষ সমস্ত জীবন দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েও
জীবনের প্রান্তবেলায় মনুষ্যত্বের যে পরিচয় দেন তা তাঁকে ভাস্বর করে। কোথাও বা কর্মজীবনের শেষে ফেলে আসা দিনের স্মৃতিরোমন্থনে জেগে ওঠে জীবনের নতুন চর। নতুনভাবে তা অর্থবহ হয়ে উঠে নতুন অধ্যায় সূচনার প্রয়াস পায়। আপাত অসম্ভব অথচ বহুসম্ভাবনাময় এমন জীবনের ছবি ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থের উপন্যাসগুলিতে। নানা রঙের, নানান স্বাদের। চরিত্রের বিচিত্রতায় আখ্যানের প্রকাশও হয়েছে বিভিন্ন।