লেখক পরিচিতিঃ ক্ষুদিরাম দাস (৯ অক্টোবর ১৯১৬ – ২৮ এপ্রিল ২০০২) একজন পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও একজন ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট. উপাধিতে ভূষিত হন, ১৯৬২ সালে যা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেই প্রথম একটি বাংলা থিসিস। তিনি দেখালেন, নিসর্গ, মানুষ এবং রোমান্টিকতা এবং তা থেকে জাত একটি অধ্যাত্মচেতনা ক্রমপরিণামমুখী কবিসত্তাকে কীভাবে বিচিত্র পথ বেয়ে প্রৌঢ়তার দিকে নিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যায়েও যার নূতনত্ব এবং গতিশীলতা অব্যাহত। এই নিবন্ধ-পরীক্ষক ছিলেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয় চক্রবর্তী ও নীহাররঞ্জন রায়। অমিয় চক্রবর্তীর মতে এমন নিবন্ধ নাকি বিদেশেও সুদুর্লভ।
নামকরণ স্পষ্টত দিক নির্দেশ করেছে গ্রন্থের বিষয় সম্পর্কে। শ্রীচৈতন্য-প্রবর্তিত ভক্তি-আন্দোলনের ধারায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের তত্ত্ব ও বৈশিষ্ট্য এবং সেই সঙ্গে সমকালীন সমাজচেতনা ও সমষ্টির প্রতিক্রিয়াও গুরুত্ব পেয়েছে গ্রন্থটিতে।
কৃষ্ণপ্রেমের উদ্বোধক এই বৈষ্ণব ভক্তি অনুশীলনের অনিবার্য প্রভাব ও কাঙ্ক্ষিত সুফল হল আনন্দময় হৃদয়বৃত্তি। এ-ই এখানে 'রস'। আর তার সংহত ও শিল্পিত সাহিত্যিক অভিব্যক্তি হল এখানে 'প্রকাশ'। গ্রন্থে 'কীর্তন গান ও রসপর্যায়' অধ্যায় গ্রন্থকারপ্রাতঃস্মরণীয় গানগুলির যে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেছেন তা ছাত্র- গবেষকের কাছে একান্ত আদৃত। সাধারণ পাঠকের পক্ষেও তা সুখপাঠ্য। পরিশিষ্ট অংশে সংযোজিত হয়েছে কিছু নতুন সূত্র যা ভাবনার ভিন্নতর দিক উন্মোচন করে। সর্বোপরি উচ্চস্তরের দার্শনিক ভিত্তি গ্রন্থের একান্ত সম্বল।
Weight:440 gm
VARIANT | SELLER | PRICE | QUANTITY |
---|
লেখক পরিচিতিঃ ক্ষুদিরাম দাস (৯ অক্টোবর ১৯১৬ – ২৮ এপ্রিল ২০০২) একজন পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমালোচক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ও একজন ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট. উপাধিতে ভূষিত হন, ১৯৬২ সালে যা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সেই প্রথম একটি বাংলা থিসিস। তিনি দেখালেন, নিসর্গ, মানুষ এবং রোমান্টিকতা এবং তা থেকে জাত একটি অধ্যাত্মচেতনা ক্রমপরিণামমুখী কবিসত্তাকে কীভাবে বিচিত্র পথ বেয়ে প্রৌঢ়তার দিকে নিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যায়েও যার নূতনত্ব এবং গতিশীলতা অব্যাহত। এই নিবন্ধ-পরীক্ষক ছিলেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিয় চক্রবর্তী ও নীহাররঞ্জন রায়। অমিয় চক্রবর্তীর মতে এমন নিবন্ধ নাকি বিদেশেও সুদুর্লভ।
নামকরণ স্পষ্টত দিক নির্দেশ করেছে গ্রন্থের বিষয় সম্পর্কে। শ্রীচৈতন্য-প্রবর্তিত ভক্তি-আন্দোলনের ধারায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের তত্ত্ব ও বৈশিষ্ট্য এবং সেই সঙ্গে সমকালীন সমাজচেতনা ও সমষ্টির প্রতিক্রিয়াও গুরুত্ব পেয়েছে গ্রন্থটিতে।
কৃষ্ণপ্রেমের উদ্বোধক এই বৈষ্ণব ভক্তি অনুশীলনের অনিবার্য প্রভাব ও কাঙ্ক্ষিত সুফল হল আনন্দময় হৃদয়বৃত্তি। এ-ই এখানে 'রস'। আর তার সংহত ও শিল্পিত সাহিত্যিক অভিব্যক্তি হল এখানে 'প্রকাশ'। গ্রন্থে 'কীর্তন গান ও রসপর্যায়' অধ্যায় গ্রন্থকারপ্রাতঃস্মরণীয় গানগুলির যে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করেছেন তা ছাত্র- গবেষকের কাছে একান্ত আদৃত। সাধারণ পাঠকের পক্ষেও তা সুখপাঠ্য। পরিশিষ্ট অংশে সংযোজিত হয়েছে কিছু নতুন সূত্র যা ভাবনার ভিন্নতর দিক উন্মোচন করে। সর্বোপরি উচ্চস্তরের দার্শনিক ভিত্তি গ্রন্থের একান্ত সম্বল।